আমি কেন সদস্য হব ?
ক্ষনস্থায়ী এ দুনিয়াতে আমাদের আত্নীয় স্বজন অ পরিচিতজন অনেকেই বেঁচে নেই। আমাকেও একদিন এ ক্ষনস্থায়ী এ দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে। আমার সাথে আমার ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততী, আত্নীয়-স্বজন কেউ যাবে না, যাবে শুধু আমার নেক অ কৃত সদকায়ে জারিয়া ইত্যাদি। এ সম্পর্কে নবী করীন (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ ” মৃত ব্যাক্তির সাথে (কবর পর্যন্ত) তিনটি জিনিস যায়
(১) পরিবার-পরিজন, (২) ধন-সম্পদ, (৩) আমল
অতঃপর পরিবার-পরিজন, ধনসম্পদ ফিরে আসবে । আর কৃত আমল সমূহ তার সঙ্গে থেকে যাবে ।”
– মুসলিম শরীফ
কেন এ কাফেলা সদস্য সংখ্যা ৩১৩ জন ?
- রসুলগণের সংখ্যা ৩১৩ ।
- হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর সহযোগীদের সংখ্যা ৩১৩ ।
- বাদশাহ তালুতের বিজয়ী সাথীদের সংখ্যা ৩১৩ ।
- দুনিয়ার শেষ লগ্নে হযরত মাহদী (রাঃ) – এর মুল বাহিনীর সংখ্যা ৩১৩ ।
- বদরের যুদ্ধে সাহাবীদের সংখ্যা ৩১৩ ।
- হযরত থানবী (রহ) স্বীয় গ্রন্থ ” মুনাজাতে মাকবুল” বদর যুদ্ধের ক্ষমাপ্রাপ্ত ৩১৩ জন সাহাবীর নামে উৎসর্গ করেছেন । তাই ঘটনা প্রবাহের বহুলতায় সংখ্যাটি অতি মাকবুল ও গুরুত্ত্বপুর্ণ ।
আল্লাহ তা’আলার ঐ সকল মাকবুল বান্দাগণের সংখ্যা ৩১৩ – এর অনুসরণে আজীবন সদস্য ৩১৩ নির্ধারিত হয়েছে । আপনিও সেই বরকত পরশিত ৩১৩ জন সাদৃশ্য একজন গর্বিত সদস্য ।
কুরআনের পাতা থেকে
আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের মৃত্যু আসার পুর্বে । কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব ! যদি আপনি আমাকে আরো কিছুকাল পযর্ন্ত সময় দিতেন, তাহলে আমি দান-সদকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম ।
– সুরা মুনাফিকুন, আয়াত -১০
হাদিসের পাতা থেকে
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “যখন মানুষ মরে যায় তখন তার আমল নামায় সকল আমলের নেকী লেখা বন্ধ হয়ে যায় । কিন্তু তিন প্রকার আমলের নেকী লেখা বন্ধ হয় না ।
(১) সদকায়ে জারিয়া ।
(২) ঐ ইলম, যা দ্বারা মানুষ মৃত্যুর পরও উপকৃত হয় ।
(৩) এমন নেক সন্তান, যে দোয়া করতে থাকে ।”
— মুসলিম শরীফ